চুলকানির সারবে ঘরোয়া টোটকায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হাজারও সমস্যার মধ্যে একটি অন্যতম সমস্যা হল চুলকানির সমস্যার। আমরা অনেক সময় অনেকেই এতে ভুগে থাকি। আর এটি যে কতটা অস্বস্তিকর, যারা এর শিকার হন, তারা ভালো করেই জানেন। বিশেষ করে যাদের ত্বক খুব কোমল তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হন। পাশাপাশি কোনও বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে এলেও ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খেয়ে ফেলেন। কিন্তু এটা করা কখনই উচিৎ নয়। তাই ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করে চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করলে সেটা অনেক বেশি উপকারী। এতে অন্তত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে না। জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু উপায় সম্পর্কে-
তুলসী পাতা
তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সকলেই কম-বেশি অবগত। চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতার ব্যবহার খুবই উপকারী। কিছু পরিমাণ তুলসী পাতা জলে মিলিয়ে ফুটিয়ে নিন। সেই জল দিয়ে স্নান করুন, উপকার পাবেন। পাশাপাশি তুলসী পাতার পেস্ট তৈরি করেও আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মশ্চারাইজার গুণসম্পন্ন। এই কারণে এটি ত্বকের রুক্ষভাব দূর করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ও সহায়ক অ্যালোভেরা অ্যান্টি-এজিং গুণ বয়স জনিত কারণে হওয়া চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক। চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন, এতে আরাম পাবেন।
নারকেল তেল
নারকেল তেলের ব্যবহারেও চুলকানি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নারকেল তেল ময়েশ্চারাইজিং এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পন্ন। নারকেল তেল ব্যবহারের আগে উষ্ণ গরম জলে ভালো করে স্নান করে ত্বক মুছে নিন। এরপর আক্রান্ত স্থানে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে মেখে নিন নারকেল তেল। দূর হবে চুলকানির সমস্যা।
নিম পাতা
নিমপাতার অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণ চুলকানি কম করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই পাতা ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়ক, যা ত্বকে সংক্রমণ ঘটানোর কারণ হতে পারে। বেশ কিছু পরিমাণ নিম পাতা সামান্য জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন এবং আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন এতে করে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
No comments:
Post a Comment