কাঁচা দুধেই মিলবে উজ্জ্বল ত্বক, ব্যবহার করুন এইভাবে
লাইফস্টাইল ডেস্ক: এক গ্লাস দুধ স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী সে কথা আমরা সকলেই জানি। তবে দুধ কেবল শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয়, এটি প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ত্বকের পিএইচ লেভেলের মাত্রা সঠিক রেখে এটি ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে। জেনে নেওয়া যাক কাঁচা দুধ কীভাবে ব্যবহার করলে ত্বক সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও ধরে রাখা সম্ভব হবে-
টোনার হিসেবে কাঁচা দুধের ব্যবহার
ত্বক হাইড্রেট এবং সুস্থ রাখতে টোনারের ভূমিকা অতুলনীয়। তবে এক্ষেত্রে যদি কাঁচা দুধ ব্যবহার করা যায়, তা ত্বকের জন্য হবে আরও বেশি উপকারী। কাঁচা দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড উপস্থিত রয়েছে, যা ত্বক এক্সোফলিয়েট করে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতেও সহায়ক এটি। কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে সেটি মুখের টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
ক্লিনজার রূপে ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা দুধ
কাঁচা দুধ ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করলে এটি ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের ভেতর ও বাইরে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলি দূর করতেও সহায়তা করে। বাটিতে কাঁচা দুধ নিয়ে তাতে সামান্য দই মিলিয়ে নিন এবং একটি গাঢ় পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে মেখে রেখে দিন অন্তত ১০ মিনিট। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার এই প্যাক ব্যবহারে ফল মিলবে চটজলদি।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা দুধ
এর জন্য হাতে সামান্য পরিমাণ কাঁচা দুধ নিয়ে সেটি মুখে মেখে নিন। এরপর টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করুন। তারপর ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। কাঁচা দুধে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বক কোমল ভাবে পরিষ্কার করে এবং ত্বক ময়েশ্চারাইজার করতেও সহায়তা করে।
ত্বকের যৌবন ফিরিয়ে আনতে কাঁচা দুধের ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন
এর জন্য এক চামচ কাঁচা দুধ এবং এক চামচ মধু মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে মেখে হালকা হাতে মালিশ করুন। ১০ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভালো ফল পাবেন। ত্বকের বলিরেখা দূর করতেও সহায়তা করবে এই প্যাক।
No comments:
Post a Comment