পাতে রাখুন দই-কিশমিশের মিশ্রণ, দূরে থাকবে এইসব সমস্যা
লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমের সময় এক বাটি টক দই শরীরের জন্য অনেকটাই উপকারী। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং নানান অসুখ-বিসুখ থেকেও দূরে থাকা যায়। পাশাপাশি টক দই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে। তবে দইয়ের সঙ্গে যদি কয়েকটি কিশমিশ মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে ফল মিলবে আরও চমৎকার। কেন আসুন জেনে নেওয়া যাক-
কিসমিস প্রচুর পরিমাণে সলিউবল ফাইবার থাকে। আর দই ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। দই-কিসমিস একত্রে খেলে এটি শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। সেইসঙ্গে পেটের সমস্যাও নিরাময় করে। তেল-মসলা খাওয়ার কারণে পেটে যন্ত্রণা হলে দই-কিশমিশের মিশ্রণ খেতে পারেন, উপকার পাবেন।
দই-কিশমিশ একসঙ্গে খেলে এটি লিভারের পক্ষেও ভালো। পাশাপাশি এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এই মিশ্রণ ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি, এই দুইয়ে থাকা উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে এবং গাঁটের ব্যথা দূর করতে সক্ষম।
কখন খাবেন দই-কিশমিশ?
দই-কিশমিশ খাওয়ার সব থেকে ভালো সময় হল দুপুরের খাবার খাওয়ার পর কিংবা প্রাতঃরাশের সময়। আপনি এটি দুপুরের খাবার খাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর খেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে দুপুরের খাবার অবশ্যই ১ টার মধ্যে সেরে নিতে হবে। এছাড়াও যেকথা মনে রাখতে হবে, তা হল- এক বাটি দইতে কখনই একেবারে অনেকটা কিশমিশ মেশানো যাবে না। খুব বেশি হলে চার থেকে পাঁচটা কিশমিশ মেশাবেন।
প্রসঙ্গত, দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী, একথা আয়ুর্বেদেও মান্যতা পেয়েছে। তবে আয়ুর্বেদ মতে দই খাওয়ার কিছু সঠিক সময় আছে। যেমন রাতের বেলা দই খাওয়া কখনই উচিৎ নয়, তাহলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এটি।
No comments:
Post a Comment