জানেন কি পেয়ারা খাওয়া কখন ক্ষতিকর?
লাইফস্টাইল ডেস্ক: পেয়ারা খুবই সুস্বাদু এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্যও সমান উপকারী। এতে পাওয়া যায় ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এই ফলটিতে ফোলেট এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, তবে ভারতের বিখ্যাত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিখিল ভাতস ব্যাখ্যা করেছেন যে এত কিছুর উপস্থিতি সত্ত্বেও অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ফলটি সবার জন্য উপকারী নয়। কিছু পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। যেমন -
সর্দি-কাশিতে ভুগছেন মানুষ
সর্দি, কাশি যারা ভুগছেন, তাদের পেয়ারা খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এর প্রভাব ঠাণ্ডা হয় এবং এটি আপনার অস্বস্তি বাড়াতে পারে। এই সময় এটি খাওয়া এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে রাতে। নাহলে ঠাণ্ডা প্রভাব জাঁকিয়ে বসার সম্ভাবনা থেকে যায়।
অন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন যারা
পেয়ারা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে, তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই ফলটির অতিরিক্ত খেলে হজম প্রক্রিয়ায় খুব খারাপ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে যারা আন্ত্রিকে ভুগছেন। অন্ত্রের সমস্যায় পেয়ারা কম খাওয়া উচিত।
প্রদাহে ভুগছেন যেসব মানুষ
পেয়ারা ফ্রুক্টোজ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই দুটিই অতিরিক্ত খেলে ফুলে যাওয়া অনুভব করতে পারেন। এটি শরীরের জন্য আরও ভিটামিন সি শোষণ করা কঠিন করে তোলে। তাই অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে ফোলা ভাব বাড়তে পারে। এতে উপস্থিত প্রাকৃতিক চিনি ফুলে যাওয়ার সমস্যা তৈরি করতে পারে। মনে রাখবেন পেয়ারা খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাবেন না, না হলে ফোলা বাড়বে।
ডায়াবেটিসের রোগী
পেয়ারা একটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত ফল, যার কারণে এটি খেতে প্রায়শই ডায়াবেটিস রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এটি তখনই উপকারী যখন এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া হয় এবং আপনি আপনার গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করতে থাকেন, কারণ পেয়ারাতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে।
দিনে কয়টি পেয়ারা খাবেন?
দিনে এক থেকে দুটি মাঝারি আকারের পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি দুটো মিলের মাঝে খাওয়া ভালো। ব্যায়ামের আগেও এটি খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয়। তবে, কিছু করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment